সমকালীন প্রতিবেদন : বাড়িতে পৌঁছে দেবার নাম করে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হলো এক যুবতীকে। পরে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে বাগান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। যুবতীর শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল। মাঝেমধ্যেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। পেট্রাপোল থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ২০ বছরের এক যুবতী শুক্রবার রাতে বাড়িতে ফেরার জন্য বনগাঁ থানার কাছে একাকী ঘোরাঘুরি করছিলেন। এই সময় একজন যুবক তাঁকে একটি ইঞ্জিন ভ্যানে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তুলে নিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিতপুর গ্রামে নিয়ে যায়।
এরপর ওই এলাকায় একটি আম বাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন চালায়। তারপর তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় বাগানের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় ওই দুষ্কৃতী। পরে যুবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে তৃণমূল, বাম নেতৃত্বের পাশাপাশি বনগাঁ হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপ্তি সরকার। তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতেও যান। তাঁরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীর অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি যে কোনো রকমের সহযোগিতার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তাঁরা দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপ্তি সরকার জানান যে, ওই যুবতী এখনো পর্যন্ত অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাঝেমধ্যে তাঁর জ্ঞান ফিরছে। এরকম অবস্থাতেই সে গতকাল রাতের ঘটনার কথা জানায়। এ ব্যাপারে যুবতীর বাবা পেট্রাপোল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তর সন্ধান চালাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন