সৌদীপ ভট্টাচার্য : হাট বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। হাটে আসা নিরীহ কৃষকদের উপরে নির্বিচারে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কৃষক জখম হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেগঙ্গা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কৃষক।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ। ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের (টাকি রোড) পাশেই দেগঙ্গা বাজারে প্রতি সপ্তাহের মতো রবিবারেও সবজির পাইকারি হাট বসে। আশেপাশের প্রায় শতাধিক গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে সকালেই পৌছে যান এই হাটে।
দেগঙ্গার এই হাটের মালিকানা বর্তমানে শাসকদল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহলের হাতে। কমিটিও তারা পরিচালনা করেন। কিন্তু অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে সেই জায়গা অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে নিলাম করেছে হাট কমিটির লোকজনেরা। ফলে সাধারন গরিব কৃষকেরা তাঁদের সবজি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন। যার জন্য টাকি রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর পরেই হাট মালিকদের সঙ্গে হাটের জায়গা বেদখলের অভিযোগ তুলে কৃষকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাট মালিকরা খবর দেয় দেগঙ্গা থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিরীহ কৃষকদের উপর হাট মালিকদের নির্দেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে এবং সবজি তুলে নিয়ে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। লাঠির আঘাত থেকে বাদ যাননি মহিলা ও বৃদ্ধ কৃষকেরা।
এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন আশেপাশের গ্রামবাসীরা। পুলিশের এহেন আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান কৃষকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশ কেন কৃষকদের সঙ্গে কথা না বলে, কৃষকদের অভাব-অভিযোগ না শুনে নির্বিচারে লাঠিচার্জ শুরু করলো ?
নিরীহ কৃষকদের উপর পুলিশের এই অন্যায় লাঠিচার্জের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান আহত কৃষকদের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন