সমকালীন প্রতিবেদন : কলকাতা জার্নালিস্ট ক্লাবের ৪৩ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হল রবিবার। কলকাতার চাঁদনিচকে সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। গত দু'বছরে যেসব সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সভার কাজ। করোনা মহামারীতে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ৮০ জন সাংবাদিক। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় তাঁদের।
নতুন কর্মসমিতি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার শম্ভুপ্রসাদ সেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রান্তিক সেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইমনকল্যাণ সেন। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন সাধনা দাস বসু।
এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য হয়েছেন বিল্টু দাস, সৌনক সুর, অভিন্দন দত্ত, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, অজন্তা চৌধুরী, অমলেন্দু চ্যাটার্জি, অনুপাল বিশ্বাস, অরিন্দম চক্রবর্তী, চন্দন রুদ্র, মানবেন্দ্রনাথ লাহিড়ি, নরেশ মন্ডল, পঙ্কজ চ্যাটার্জি, পার্থপ্রতিম গোস্বামী, পুর্ণেন্দু চক্রবর্তী, সঞ্জয় হাজরা, শাকিলা খাতুন, শিখা দেব, স্পন্দন গায়েন, তরুণ রায় ও তীর্থঙ্কর বিশ্বাস। এই কমিটি আগামী দু'বছর কাজ করবে।
বিগত কর্মসমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সম্পাদক রাহুল গোস্বামী। করোনা মহামারীর মধ্যেও ক্লাবের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদস্যদের অভিনন্দন জানান তিনি। বলেন, মহামারীর সময়েও সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ থামছে না। কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। হেনস্থার শিকার হচ্ছেন চিত্র সাংবাদিকরা। গোটা দেশে ধাক্কা খাচ্ছে তদন্তমূলক সাংবাদিকতা।
সম্প্রতি পেগাসাস ইস্যু আছড়ে পড়েছে সাংবাদিকদের উপর। সাংবাদিকদের টেলিফোনেও আড়ি পাতা হচ্ছে। নিয়োগকর্তারা সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। কোথাও কোথাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গণমাধ্যম। কিছু সংস্থায় চুক্তিপত্র নবীকরণ নিয়ে টালবাহানা চলছে। স্থায়ী কর্মীদের ভি আর এসের চিঠি ধরিয়ে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নিউজ প্রিন্টের দাম বাড়ছে। আর্থিক বোঝার চাপে অনেক মাঝারি ও ছোট সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ছাপাখানাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। নবনির্বাচিত সম্পাদক ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন