সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেলামেশা করার পর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রেমিকা। সেই মামলায় জেল হয় প্রেমিকের। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় জামিন পেলেন প্রেমিক। শুক্রবার অভিনব এই বিয়ের আসর বসেছিল বনগাঁ আদালত চত্বরে।
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁর বাবুপাড়ার ২৭ বছরের যুবক কৃষ্ণেন্দু সাহার সঙ্গে বনগাঁর কুড়ির মাঠ এলাকার এক যুবতীর ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সূত্রে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। মাস ছয়েক আগে কৃষ্ণেন্দুকে তার প্রেমিকা ওই যুবতী বিয়ের প্রস্তাব দিলে কৃষ্ণেন্দু বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তারপরেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রেমিকার বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওই যুবকের বাড়িতে যান যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও বিয়েতে আপত্তি তোলায় শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
শেষপর্যন্ত বিষয়টি বনগাঁ থানায় গড়ায়। বনগাঁ থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রেমিকা ওই যুবতী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত যুবক কৃষ্ণেন্দু সাহাকে। বনগাঁ এ ডি জে কোর্টের বিচারক শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে জেল হয় কৃষ্ণেন্দুর। এরপর বিচারকের কাছে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি আছে বলে আবেদন জমা করে অভিযুক্ত যুবক। সেই প্রস্তাবে সায় দেন প্রেমিকাও।
বিয়ে করলে মিলবে জামিন, সেই মর্মে নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার মহকুমা আদালত চত্বরেই বিয়ের আয়োজন হয়। রীতিমতো মালা বদল করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হল প্রেমিক ও প্রেমিকার। বিয়ের পর্ব মেটার পর ওই যুবতী সাংবাদিকদের জানান, 'অনেক দিনের সম্পর্ক চলার পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আমি অভিযোগ করেছিলাম। আদালতের নির্দেশে বিয়ে হল। আমি খুব খুশি।'
যুবকের পরিবারের বক্তব্য, ছেলে রাজী হয়েছে বিয়ে করতে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এখন থেকে আমাদের বাড়িতে বৌমার সম্মান নিয়েই বসবাস করবে ওই যুবতী।' সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে শেষ পর্যন্ত চার হাত এক হওয়ায় খুশি সব পক্ষই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন