সমকালীন প্রতিবেদন : ফের বিজেপিতে চওড়া ফাটল। 'ঘরে' ফিরছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ? সাংসদের কথাতেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। সাফ বলেছেন, 'আমি বিজেপিতে গেলাম কবে!' পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভার ওয়েলে নেমে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে একসুরে গলা ফাটাতে দেখা গেল তাঁকে। তারপরই এই বিস্ফোরক দাবি করেন সুনীলবাবু। বলেন, বিজেপি নয়, তিনি তৃণমূলেই আছেন। তাঁর এই বক্তব্য বিড়ম্বনায় ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, সুনীল মণ্ডলের তৃণমূলে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল কয়েকদিন আগেই। প্রথমে দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তারপর ৩০ জুলাই মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে এক ফ্লাইটেই কলকাতায় ফিরেছিলেন সুনীল মণ্ডল। তখনই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর আর এক দফা কথা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোমবার লোকসভায় পেগাসাস ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গেই বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় বর্ধমান পূর্বের সাংসদকে। দিল্লি থেকে টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'আমি তো তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করিনি। আমি তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি।'
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূলের এই সাংসদ। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে আশানুরূপ ফল করতে পারেননি। তার পরেই সুনীল মন্ডলকে একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায়। বার কয়েক মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন সুনীল মন্ডল।
তবে কেন বিজেপি ছাড়ছেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তাঁর বক্তব্য, তিনি তৃণমূলেই ছিলেন, তৃণমূলেই আছেন। সুনীল মন্ডলের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জেলা নেতৃত্ব অবশ্য সেভাবে কিছু বলতে চায়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস সাংবাদিকদের জানান, 'আমাদের দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী ও আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী ঠিক করবেন, কাকে দলে নেওয়া হবে বা হবে না। তাঁরা যাকে যেভাবে দলে নেবেন, কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানাবেন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন