অণুগল্প
পোয়াতি
কুমারেশ তেওয়ারী
বীরুদের পাড়াতুতো দিদি ছিল পুতলিদি। ষোলোতেই কী ঢেউ কী ঢেউ! যেন গিলে নেবে সব, বিষ ও অমৃত। রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেল, যেন বাঁকে বাঁক ধরে উজানে চলেছে নদী।
বীরু মনা ডেঁপোর তখন বয়ঃসন্ধি। তাদের কাছে চাঁদ মানেই যেন নীল কবুতর। কার সঙ্গে বকমবকম এই নিয়ে সে কী রুষোরুষি!
পুতলিদি যেন এসবে চূড়ান্ত উদাসীন, ঢং।
আসলে ভেতরে আবিষ্কৃত হবার গোপন ইচ্ছে উদুখলের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চায়।
বুড়িপিসি সর্বজান্তা। বীরু শুনেছে পিসি তার মা‘কে বলছে কতবার, ও মেয়ে হস্তিনী! কত বাগান খাবে ও বেটি, লক্ষণই তো বলে দেয়।
বীরু কি তখন অতসব বোঝে ছাই! মাকে শুধোত, হস্তিনী মানে তো মেয়ে হাতি। পুতলিদি মেয়ে হাতি বুঝি!
মুখ টিপে হেসে বীরুকে পাকামো না করার কথা বলত মা।
সেই পুতলিকে একদিন পাওয়া গেল গোয়ালঘরে। কড়িকাঠে ঝুলে, যেন মৃত সাপ।
থিকথিক পাড়া।
বীরু আড়কানে শোনে, বুড়িপিসি মাকে বলছে, গনা কেওট তো কত ওষুধই জানে। একবার যেতে পারল না মেয়ে!
----------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন