সমকালীন প্রতিবেদন : দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া বীর সেনার পরিবার কেমন আছে, কেমন করে কাটছে তাঁদের দিন, সেই বিষয়ে খোঁজ নিতে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন শহীদ সেনার বাড়িতে সস্ত্রীক হাজির হলেন খোদ জেলা শাসক। জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাকে হাতের কাছে পেয়ে উচ্ছসিত শহীদ পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা। তাঁদের জীবনে চলার পথের নূনতম চাহিদা, সরকারি সুবিধা পাওয়ার আবেদনও জানালেন জেলা শাসকের কাছে।
বীরভূম জেলার মহম্মহ বাজার থানার বেলগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ ওড়াং ভারতীয় সেনা বাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের জওয়ান হিসেবে ভারত–চিন সীমান্তের গালওয়ান সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ১৬ জুন চিনা সেনার অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারান ভারতীয় সেনা বাহিনীর এই বীর জওয়ান। তাঁর এই শহীদ হবার খবর তাঁর গ্রামে এসে পৌঁছাতেই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তারপর কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। জেলা সদর থেকে অনেকটাই দূরে রাজেশ ওড়াং এর গ্রাম বেলগড়িয়া। শহীদের পরিবার এবং এই গ্রামের মানুষেরা কেমন আছেন, তা জানতে স্বাধীনতা দিবসের আগে সন্ধেয় সেই গ্রামে সস্ত্রীক হাজির হয়ে যান বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়। শহীদ সেনা রাজেশ ওড়াং এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা শাসক। কথা বলেন রাজেশের বাবা, মা, বোনের সঙ্গে।
জেলা শাসক গ্রামে এসেছেন খবর পেয়ে রাজেশের বাড়িতে এক এক করে হাজির হন গ্রামের অনেকেই। জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তাকে কাছে পেয়ে রাজেশের নামে একটি খেলার মাঠ, পানীয় জল, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র নির্মান ইত্যাদির ব্যবস্থা করার জন্য নিবেদন জানান জেলা শাসকের কাছে। সবার কথা মন দিয়ে শোনেন জেলা শাসক। ক্ষমতা অনুযায়ী গ্রামবাসীদের আবেদন রাখার চেষ্টা করবেন বলেও জানান জেলা শাসক।
পরে জেলা শাসক বিধান রায় সাংবাদিকদের জানান, 'রাজেশ ওরাং দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য শহীদ হয়েছেন। সুতরাং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করা, বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের নূনতম চাহিদা পূরণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের। তাঁর পরিবারের পাশাপাশি তাঁর আশপাশের গ্রামের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের চেষ্টা করবো আমরা।' আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামবাসীদের তাঁদের চাহিদার কথা লিখিত আকারে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার কথা বলে গেলেন জেলা শাসক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন