Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত ইন্দো–টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের আধিকারিক, অশোকনগরের ক্ষিতীশচন্দ্র সরকার

 

Honored-with-the-Presidential-Award

সমকালীন প্রতিবেদন : নিজের কর্ম দক্ষতার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে  সম্মানিত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা ক্ষিতীশচন্দ্র সরকার। ইন্দো–টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের দক্ষ আধিকারিক ক্ষিতীশবাবু বর্তমানে বিহার রাজ্যের পাটনায় ডিসি পদে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই সম্মানপ্রাপ্তির খবর অশোকনগরের বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই তাঁর পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় খুশির হাওয়া বইছে।

১৯৮৩ সালে চাকরিতে যোগ দেন ক্ষিতীশচন্দ্র সরকার। নিজের কর্ম দক্ষতার পুরস্কার হিসেবে এর আগেও বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন অশোকনগরের বাসিন্দা এই সেনা আধিকারিক। সংসারের দায়িত্ব স্ত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেশের সেবায় নিজের কাজে অবিচল রয়েছেন এই সেনা কর্তা। স্ত্রীকে সামলাতে হয়েছে সংসার, ছেলেমেয়ে। সংসার সামলানোর জন্য নিজের চাকরি পর্যন্ত ত্যাগ করতে হয়েছে স্ত্রী অলকা সরকারকে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ক্ষিতীশবাবু। 

মঙ্গলবার  তাঁর  রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ স্থানীয় অশোকনগরের বাড়িতে পৌছতেই খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে পরেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁর স্ত্রী অলকা সরকার জানালেন, 'এই খুশির খবরের ভালোলাগা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই মূহূর্তে পরিবারের সবাই এক জায়গায় থাকলে আরও বেশি খুশি হতাম।'‌

ছেলে আকাশকে নিয়ে অশোকনগরের বাড়িতেই থাকেন ক্ষিতীশবাবুর স্ত্রী অলকা সরকার। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক হিসেবে মেয়ে বর্তমানে অন্য জেলায় কর্মরত। জামাই কলকাতা পুলিশে কর্মরত। ফলে বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া পরিবারের সবাই এক জায়গায় হওয়া হয়ে ওঠে না।

ছেলে আকাশ সরকারকে ফোন করেই এদিন সকালে এই খুশির খবর জানান ক্ষিতীশবাবু। ‌এই খবর শোনার পর খুশিতে একপ্রকার বাক্রুদ্ধ হয়ে পরেন আকাশ। এরপর থেকে প্রতিবেশী, পরিজন, বন্ভুদের মধ্যে এই খুশির খবর ভাগ করে নেন। আকায় জানালেন, 'এই মুহূর্তে বাবাকে কাছে পেলে সবথেকে বেশি খুশি হতাম।' 

ছুটি কাটিয়ে এমাসের ১০ তারিখেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ক্ষিতীশবাবু। অক্টোবর মাসে ছুটিতে বাড়ি আসার কথা রয়েছে তাঁর। আপাতত সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন