সমকালীন প্রতিবেদন : মানভূম তথা জঙ্গলমহল এলাকার বড় উৎসব মনসা পুজো। আর এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হাঁস বিক্রি। অথচ অন্যান্যবারের মতো এবছর হাঁস বিক্রি হল না। বিক্রেতাদের কথায় করোনার প্রভাব ও লকডাউনের ফলে এ বছর বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম।
সোমবার ছিল বার, মঙ্গলবার মনসা পুজো এবং বুধবার পান্না অর্থাৎ মাংস খাবার দিন। পুরুলিয়া জেলার যতগুলি মনসা পুজো হয়, তারমধ্যে এটি অন্যতম। আর তাই জেলায় শুরু হয়ে গেছে হাঁস কেনাবেচার পালা। মনসা ঠাকুরের কাছে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম মানত করে থাকেন। কিছু সংখ্যক মানুষ পাঠা মানত করলেও জেলার নব্বই শতাংশ মানুষ মানত পূরনে হাঁস দেন।
তাই বছরের এই দিনটিতে পুরুলিয়া শহরে লক্ষাধিক হাঁস কেনাবেচা হয়। শহরে হাটের মোড়ে সারি সারি দিয়ে হাঁস নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। মঙ্গলবার মা মনসার কাছে বলি দিয়ে বুধবার পান্না পালন। সেদিন একে অপরের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে যান। এদিন গোটা জেলা রীতিমত অঘোষিত বন্ধের আকার নেয়। দোকানপাট বন্ধ থাকে, এমন কি যানবাহনও বন্ধ থাকে।
পুরুলিয়া টামনা ও জয়পুরে আসা বিক্রেতারা বলেন, সকালে এসে বসেই ছিলাম। বেলার দিকে খরিদ্দার এলেও আগের মতো বিক্রি নেই। এই হাঁস ২৫০–৩০০ টাকায় বহু কষ্ট করে বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য বছর বসতে না বসতেই হাঁস পিছূ তিনশো, সাড়ে তিনশো টাকায় ঝাঁপি খালি হয়ে যেত। এ বছর বাজার খুবই মন্দা। লকডাউন ও করোনার জন্য মানুষের পকেটে টান পড়েছে। আর তাই হয়তো বিক্রি কম, বললেন এক হাঁস বিক্রেতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন