সমকালীন প্রতিবেদন : মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র ও অভিভাবকেরা৷ বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে। দীর্ঘ সময় ফর্মের রশিদ, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে স্কুল গেটে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। অভিযোগ, স্কুলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমস্যা সমাধানের জন্য একমাস সময় নিয়েছিলেন। সেই সময় পার হয়ে গেলেও রেজাল্ট না পেয়ে রেজাল্টের দাবিতে ছাত্র এবং অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন৷ এদিন প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্কুলের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেন প্রধান শিক্ষক।
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, '২০২১ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসেবে যখন ফর্ম পূরণের কাজ চলে, তখন অন্যান্য ছাত্রদের মতো ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্ররাও নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ফর্ম পূরণ করে। কিন্তু বিশেষ একটি কাগজে তারা সই না করেই চলে যায়।
স্কুলের ক্লার্করা সেই বিষয়টি না দেখেই পরীক্ষার্থীদের তালিকা বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। এই পরিস্থিতিতে যে ২০ জন ছাত্র ফর্ম পূরণ করে নি, তাদের সঙ্গে এই ৭ জনের নামও বাদ যায়। যে ১৬৯ জনের চালান কাটা হয়েছিল, পরীক্ষার্থী হিসেবে তাদের নামের তালিকাই বোর্ড থেকে আসে।'
স্কুলের ক্লার্কদের এই অমার্জনীয় ভুলের খেশারত দিতে হয় এই ছাত্রদের। তাদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবুও বঞ্চিত ছাত্রদের কথা ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে ত্রুটি সংশোধন করার চেষ্টা করলেও, শেষপর্যন্ত তা কার্যকরী হয় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন