বিজেপির শহীদ সম্মান যাত্রা
বিজেপির শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক নিরাপত্তায় আঁটোসাঁটো করা হলো গোবরডাঙা কালীবাড়ি চত্বর। বৃহস্পতিবার বড় জাগুলিয়া থেকে এই যাত্রা শুরু হয়। গোবরডাঙা কালীবাড়ি হয়ে স্বরূপনগর ঘুরে বনগাঁয় এই যাত্রা শেষ হয়। এইদিনের এই শহীদ সম্মান যাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ছিলেন গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় শহীদ সম্মান যাত্রাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটেছে। বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাই এদিনের এই যাত্রায় যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গোবরডাঙা কালীবাড়ির মা প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির শহীদ সম্মান যাত্রায় বিরাটিতে তিনি সহ কয়েকজন বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে বলেন, 'কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এইভাবে হেনস্থা করাটা বাংলার ইতিহাসে একটা লজ্জার বিষয়। একমাত্র এই রাজ্য সরকারের দ্বারাই এটা সম্ভব। পাশাপাশি, এদিন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার হোক, এটাই আমরা চাই।'
হেরোইনের আসর
হেরোইন খাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বনগাঁর রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে হেরোইনের রমরমা ব্যবসা। বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এলাকার কিছু যুবক বৃহস্পতিবার পাড়ায় খেলা সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁদা তুলতে গিয়ে এলাকার ক্লাব সম্পাদকের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে তাঁরা দেখেন, সেই বাড়িতে রীতিমতো হেরোইনের আসর বসেছে। বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। আর তাতেই সৃষ্টি হয় গন্ডগোল। ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাব সম্পাদক হুমকি দিতে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ক্লাব সম্পাদকের ভাই। আর তাকে সমর্থন করছে ক্লাব সম্পাদক নিজে। এই বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।পুরসভায় ভ্যাকসিন
বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বনগাঁ পুর এলাকার প্রায় ৩০০ জন পুরোহিত, ঢাক বাদক, মৃৎশিল্পীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হল। পুর প্রশাসক গোপাল শেঠের উদ্যোগে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা পুরসভা ভবনেই এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এদিন ঢাক বাজিয়ে ধুমধামের সঙ্গে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পুরসভার উদ্যোগেই তাঁরা আবার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন