চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা
নবান্নে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানার পুলিশ। অরিন্দম দাস দাসে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, সেই অরিন্দমকে টাকা দেবার নাম করে ঘোলা মুড়াগাছা অঞ্চলে ডাকেন সমস্ত চাকরি প্রাথীরা। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে অরিন্দম দাস মুড়াগাছা মোড়ে টাকা নিতে আসেন বলে অভিযোগ। সেই সময় এলাকার তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করলে সে স্বীকার করে যে, সে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এরপর তাকে ঘোলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন সেখানকার তৃণমুল নেতা,কর্মীরা। আজ তাকে ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনে জেলা শাসক
যানজটের কারণে সিউড়ি থেকে বোলপুর কিংবা সিউড়ি থেকে দুবরাজপুর যেতে হলে চিন্তায় পরেন সাধারণ মানুষ। রেলগেটের কারণেই মূলত এই যানজট। যার কারণে অফিসের ব্যস্ত সময়ে অথবা রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পরতে হয়। অন্ডাল–সাইথিয়া রেলপথ সিউড়ি শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় বোলপুর–সিউরি রাস্তার পাশাপাশি রামপুরহাট–আসানসোল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনো যাচ্ছে না। পাশাপাশি অত্যাধিক যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাঘাটের অবস্থাও শোচনীয়। এতে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর আব্দারপুরে প্রস্তাবিত রেলোয়ে ওভারব্রিজ করার ব্যাপারে নড়েচড়ে বসলো বীরভূম জেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালে টেন্ডার করা হলেও সেই সময় জমি জটের কারণে অধিগ্রহণের কাজ আটকে থাকায় ওভারব্রীজের কাজ এগোয়নি। কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, তার জন্য বীরভূমের বর্তমান জেলা শাসক বিধান রায় সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে যান। কথা বলেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। ১.৩ কিলোমিটার লম্বা ওভারব্রিজের জন্য টেন্ডারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাছগুলি কাটার ব্যাপারেও বন বিভাগের অনুমতি মিলেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রিজের কাজ যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন জেলা শাসক।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার কামারথুবা এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল হাবড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে হাবড়ার কামারথুবা কেপিএস গ্রাউন্ড এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে প্রিয়নাথ রায় ও মহাদেব সাহা নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও দুজন পালিয়ে যায়। ধৃত ওই দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন