বনগাঁয় নানা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস
বনগাঁ মহকুমা প্রশাসন এবং বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে ত্রিকোন পার্কের সামনে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হল। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা নানা ধরণের দেশাত্মমূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়। বনগাঁ শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শহর সভাপতি সুনীল রায়। এই বিশেষ দিনে বনগাঁর নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৭৫ জন রক্ত দান করেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে হাবড়ার বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন তৃণমূলের কর্মীরা। রবিবার হাবড়ার বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঢাক, ঢোল ও পুরুলিয়ার ছৌ নাচ সহ বিভিন্ন ধরনের নৃত্যের তালে তালে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পা মেলান এলাকার কয়েক'শ মানুষ।
বারাসতে স্বাধীনতা দিবসে নানা কর্মসূচি
একগুচ্ছ কর্মসূচির মাধ্যমে বারাসতে পালিত হল ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হৃদয়পুর নবসোপান তাদের মিশন মিল্ক এর মাধ্যমে প্রায় একহাজার দুস্থ শিশুকে দুধ খাওয়ানোর কর্মসূচি নেয়। এদিকে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ৭৫ বছরের অধিক বয়সের বৃদ্ধরা এদিন একটি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করেন। প্রায় পঞ্চাশ জন বৃদ্ধ বারাসত হেলা বটতলা থেকে টালিখোলা পর্যন্ত ৩০০০ মিটার এই দৌড়ে অংশ নেয়। তাদের উৎসাহ দিতে ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এভারেস্ট জয়ী সুনিতা হাজরা। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল যথেষ্ট উন্মাদনা। অন্যদিকে, এদিন ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বারাসত বোন এন্ড জয়েন্ট ক্লিনিক। এই সংস্থার পক্ষে ডাঃ অরিন্দম মজুমদার জানান, এদিন তাঁদের এই ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরে প্রায় পঞ্চাশ জন রক্ত দান করেন।
বীরভূমে স্বাধীনতা দিবস পালন
সারা দেশের সঙ্গে মর্যাদার সঙ্গে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হল বীরভূমেও। এদিন সকাল সাড়ে আটটায় জেলা শাসকের বাসভবনে স্ত্রী ইন্দ্রানী রায়কে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক বিধান রায়। পরে সকাল ন'টায় জেলা প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা শাসক। শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা শাসক শুভ্রজ্যোতি ঘোষ, কৌশিক সিনহা, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, নিতু শুক্লা এবং মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। মহুয়া গাঙ্গুলী গোস্বামীর পরিচালনায় আস্থা সংগীতায়ন এবং শুভদীপ সরকারের পরিচালনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান
হাবড়ার বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন প্রায় ৩০০ জন বিজেপি কর্মী, সমর্থক। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাবড়ার বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই অনুষ্ঠানের শেষে ২ নম্বর বেড়গুম এলাকা থেকে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা বনমন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। আগামী দিনে এই এলাকা থেকে আরও অনেক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেতারে জাতীয় সংগীত
সেতারে জাতীয় সংগীতের সুর বাজিয়ে তাক লাগালো হুগলী জেলার চুঁচুড়ার টেকনো ইন্ডিয়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র দেবপ্রতিম ঘোষ। পন্ডিত সুরঞ্জন মুখার্জির ছাত্র দেবপ্রতিম ঘোষের স্বপ্ন পড়াশোনার পাশাপাশি সেতার শিল্পী হওয়া। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা দেবপ্রতিম ঘোষ এলাকার সাংস্কৃতিক জগতে এখন পরিচিত নাম। বাবা শুভ্রজ্যোতি ঘোষ বীরভূমের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক। তিনিও একজন সেতারশিল্পী। সুযোগ পেলেই বাবা–ছেলের সেতারের যুগলবন্দী দেখতে পান অনেকেই। আর অবসরে সময় করে বাবার কাছে কিছুটা তালিম নেয় দেবপ্রতীম। আগামী দিনে দেবপ্রতীম একজন ভালো সেতার শিল্পী হয়ে উঠবে, এমনই আশা করেন তার পরিজন এবং এলাকার বাসিন্দারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন