Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের সঙ্গে বিবাহ বার্ষিকী পালন দম্পতির

Celebrating-the-wedding-anniversary


সমকালীন প্রতিবেদন : ‌নিজেদের ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের পূর্তির দিনটি বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের সঙ্গে কাটালেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সম্রাট তপাদার এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালী তপাদার। নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীর দিনে এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে সপরিবারে হাজির হয়ে কেক কেটে বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের সঙ্গে দিনটি উপভোগ করলেন তাঁরা।

একজন সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ব্যারাকপুরের নাপিতপাড়ার বাসিন্দা সম্রাট তপাদার ছাত্র বয়স থেকেই রাজনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। সেই পরিচিতিকে ছাপিয়ে গেছে তাঁর সামাজিক কাজ। সারা বছরই তিনি নিজেকে যুক্ত রাখেন নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে। তারই অঙ্গ হিসেবে নিজের জীবনের একান্ত দিনটিও কাটালেন অন্যভাবে।

সম্রাট জানালেন, '‌অল্প বয়সেই বাবা–মাকে হারাতে হয়েছে। স্ত্রী চৈতালীরও একই পরিস্থিতি। সেই দু:‌খ ভুলতে নানা কর্মসূচি নিয়ে এই বৃদ্ধাশ্রমে হাজির হয়ে যাই। আসলে এইসব বয়ষ্ক মানুষদের মধ্যেই নিজের হারানো বাবা–মাকে খুঁজে পাবার চেষ্টা করি। তাঁদের সঙ্গে মিশে বাবা–মায়ের অভাব দূর করি।'

এদিন ছিল সম্রাট তপাদার এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালীর দাম্পত্য জীবনের এক যুগ পূর্তি। সেই দিনটিতে আত্মীয়, বন্ধুদের নিয়ে হই–হুল্লোর করার পরিবর্তে স্ত্রী, পুত্র সন্তানকে নিয়ে সকালেই হাজির হয়ে যান ব্যারাকপুরের ভোলানন্দ বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানকার বয়স্ক আবাসিকদের পিতৃ–মাতৃসম জ্ঞানে তাঁদের সঙ্গে নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীর দিনটি পালন করলেন। 

এদিন কেক কেটে নিজেদের হাতে আবাসিকদের খাইয়ে দেন এই দম্পতি। এরপর ওই আবাসিকদের জন্য চাল, ডাল, তেল, নুন, মুড়ি, বিস্কুট, চা, চিনির মতো একমাসের খাদ্যদ্রব্য তাঁদের হাতে তুলে দেন।এর পাশাপাশি, কয়েকজন বয়স্ক আবাসিকের চিকিৎসার দায়িত্বও নিজের হাতে তুলে নেন সম্রাটবাবু। তপাদার দম্পতির এমন মানসিকতায় আপ্লুত এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন