সমকালীন প্রতিবেদন : 'বনগাঁর ১২–র পল্লী লোকনাথ মন্দির চত্বর একদিন বনগাঁর অন্যতম দ্রষ্টব্যস্থান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।' সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজ্যের সব থেকে বড় ৩৫ ফুটের পূর্ণাবয়ব শিবমূর্তির উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে এমনই আশাপ্রকাশ করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রতনকৃষ্ণ গোস্বামী, লোকনাথ মন্দির কমিটির প্রধান কর্মকর্তা নারায়ণ ঘোষ, বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জী, পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী আলোরাণী সরকার, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস, আইনজীবী বাপি রায়চৌধুরী সহ বহু বিশিষ্টজন।
১২–র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ২০০৯ সালে ক্লাব প্রাঙ্গণে লোকনাথ মন্দিরের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। ২০১৪ সালে নবনির্মিত এই লোকনাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার তৎকালীন স্পিকার বিমান ব্যানার্জি। আর এরপর থেকেই প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর দিন ধুমধাম করে এই মন্দিরে পুজোর আয়োজন হয়।
অন্যান্যবার ১৫ দিন ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর সেই অনুষ্ঠানের দিনের সংখ্যা কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়। এবছর সরকারি নির্দেশ মেনে আরও কমিয়ে তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার ফিতে কেটে নবনির্মিত ৩৫ ফুট উচ্চতার পূর্ণাবয়ব শিবমূর্তির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং রতনকৃষ্ণ গোস্বামী। এরপর মন্দিরের ভেতরে লোকনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে তিন ভরি ওজনের একটি সোনার হার পরিয়ে দেন তিনি।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এদিন প্রায় ৫ হাজার দরিদ্র মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এদিন রক্তদান শিবিরে ৩০০ জন রক্ত দান করেন। এছাড়া গোটা দিন ধরে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার অষ্টম প্রহর নাম সংকীর্তন এবং বুধবার নগর কীর্তনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন