সমকালীন প্রতিবেদন : অবৈধভাবে মজুত করে রাখা কাঠের সন্ধানে উত্তর ২8 পরগনা জেলার হাবড়া শহরে ফের অভিযান চালালেন বন দপ্তরের আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার দুপুর ৩ নাগাদ শহরের ১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন হাবরা স মিল এ এই অভিযান চালান বন দপ্তরের আধিকারিকরা। পরে তাঁরা মিলটি সিল করে দিয়ে যান। এদিন দপ্তরের আধিকারিকরা হাবড়ার বিভিন্ন সমিলে অবৈধ গাছ মজুদ রাখার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। সেই মতোই এদিনের এই অভিযান বলে জানা গেছে।
গত ২১ জুলাই হাবড়ার চোংদা এলাকায় নিউ দাস স' মিল থেকে অবৈধভাবে কয়েক লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করে বন দপ্তর। মিলটিকে বন্ধ করে দেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে হাবড়া থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বন দপ্তরের বারাসত ফরেস্ট রেঞ্জের আধিকারিকদের একটি দল হাবড়া থানার ১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন হাবরা স মিলে অভিযান চালান।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বনমন্ত্রী করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁরই বিধানসভা এলাকা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনদপ্তরের আধিকারিকেরা অবৈধভাবে মজুত করা কাঠের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স মিলগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছেন ফরেস্ট অফিসারেরা।
এদিন মিলে থাকা সমস্ত কাঠের গুড়িগুলিকে নথিভূক্ত করে। সমস্ত কাঠের সঠিক কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। আধিকারিকেরা স মিল মালিককে জানিয়ে দেন, এক মাসের মধ্যে সমস্ত কাগজপত্র অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। নইলে অবৈধভাবে কাঠ মজুদ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে বন দপ্তরের নিজস্ব আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সমিল মালিক সুবীর দেবনাথ বলেন, 'এখানে আমাদের কোনও মকাঠের গুড়ি নেই, আমরা শুধু চেরাই করি। মিল চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্তরকম কাগজপত্র রয়েছে। আধিকারিকরা দেখেছেন। যাদের মাল মজুত রাখা রয়েছে, তারাও এসেছেন। তাঁরাও কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। আধিকারিকরা যেমন বলবেন আগামী দিনে তেমনইভাবেই কাজ হবে।' ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন