সমকালীন প্রতিবেদন : তেলেঙ্গানার কাকাতিয়া রুদ্রেশ্বর (রামাপ্পা) মন্দির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেল। ইউনেস্কোর তরফে রবিবার ওই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পালাম্পেটে অবস্থিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি তেলেঙ্গানাবাসী।
চিনের ফুঝৌতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির অনলাইন বৈঠকে ১৭টি দেশের সমর্থনের পর প্রসিদ্ধ এই মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সকলকে মন্দিরটি দর্শন করার আবেদন জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্দান্ত। সবাইকে বিশেষ করে তেলেঙ্গানাবাসীকে অভিনন্দন। রামাপ্পা মন্দিরটি মহান কাকাতিয়া রাজবংশের অসামান্য কারুশিল্পের নিদর্শন বহন করে। আমি আপনাদের সকলকে মহিমান্বিত এই মন্দিরটি ঘুরে দেখার জন্য আবেদন করব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মনোনীত হলেও এই মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালে আবেদন জানিয়েছিল ভারত সরকার। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার ইউনেস্কোর অনলাইন বৈঠকে আলোচনা হয়। নরওয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। কিন্তু সমর্থন জানায় রাশিয়া সহ ১৭টি দেশ। মন্দিরটি হায়দরাবাদ শহর থেকে ১৫৭ কিমি দূরে কাকাতিয়া রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী ওয়ারঙ্গাল থেকে ৭৭ কিমি দূরে। মূল মন্দির ঘিরে রয়েছে কাটেশ্বরায়া ও কামেশ্বরায়া মন্দির। মন্দিরের ভিত স্যান্ডবক্স পদ্ধতিতে তৈরি। মেঝে গ্রানাইটের। স্তম্ভ ব্যাসল্টের। মন্দিরের নিচের অংশে রয়েছে লাল বালিপাথর। অসাধারণ নির্মাণ শৈলীর কারণে পর্যটকদের মুগ্ধ করে এই মন্দির।
কাকাতিয়ার রাজা গণপতিদেবের এক সেনাপতি রেচেরলা রুদ্র মন্দিরটি নির্মাণ করেন। তবে কথিত আছে, এই মন্দিরটি নাকি নির্মাণ করেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ১২১৩ সালে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তা চলে ৪০ বছর ধরে। এই মন্দিরে একটি শিবালয় রয়েছে। সেখানে ভগবান রামলিঙ্গেশ্বরের পুজো হয়। মার্কোপোলো এই মন্দিরটিকে 'মন্দিরের নক্ষত্রপুঞ্জের উজ্জ্বলতম তারা' বলে অভিহিত করেছিলেন। ২০১৯ সালে প্রাথমিক পরিদশর্নের পর ইন্টারন্যশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের পক্ষ থেকে অবশ্য এই মন্দিরের ন'টি খামতির কথা জানানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউনেস্কোর স্বীকৃতির খুশির হাওয়া এই মন্দির ঘিরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন