সমকালীন প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে উল্টে যাওয়া ইলিশ বোঝাই ট্রলার দুর্ঘটনায় ৯ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক মৎস্যজীবী। বুধবার মধ্যরাতে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়াতে দেহগুলি তোলা হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলার মা হৈমবতীর কেবিনের ভেতর থেকে দেহগুলি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা নামখানার হরিপুর, মহারাজগঞ্জ, পাতিবুনিয়ার বাসিন্দা।
দিন চারেক আগে ১০ মাইল এলাকা থেকে বারো জন মৎসজীবি কে নিয়ে ইলিশ মাছ ধরার ট্রলার মা হৈমবতী মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্র পাড়ি দেয় ইলিশ মাছ নিয়ে বুধবার নামখানা ঘাটের দিকে ফিরছিল ট্রলারটি। এরপর বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের রক্তেশ্বরী চড়ার কাছে ট্রলারটি প্রথমে একটি ছড়ায় আটকে যায়। পরে ট্রলারটি উল্টে যায়। এই দুর্ঘটনার সময় কাছেই থাকা অন্য একটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা প্রাথমিকভাবে দুজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন।দুপুরের পর ট্রলারটিকে চিহ্নিত করে উপকূল রক্ষী বাহিনীর ড্রোনিয়ার হোভারক্রাফ্ট। পরে ১২টি মৎস্যজীবী ট্রলার দিয়ে ডুবো ট্রলারটিকে টেনে আানা হয়। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে আসবেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। মৃত মৎস্যজীবীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে বৃহস্পতিবার। মৃত মৎস্যজীবীর পরিবাররর প্রত্যেককে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। মৎস্যজীবীদের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন