Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১

অসম-মিজোরাম সীমানায় যুদ্ধ পরিস্থিতি, সংঘর্ষে হত ৬ পুলিশ কর্মী

 

War situation on Assam-Mizoram border

সমকালীন প্রতিবেদন : তপ্ত অসম-মিজোরাম সীমানা। ঘংঘর্ষে মৃত্যু হল ছয় পুলিশ আধিকারিকের। আহত ১২ জন পুলিশকর্মী। বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষও জখম। শিলচর মেডিকেল কলেজের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৩৬ জন ভর্তি।  এয়ারগান থেকে গুলি ও পাথর ছোড়ার জেরে তাঁরা আহত হয়েছেন। 

সোমবার সন্ধ্যায় টুইট করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে,  অসম-মিজোরাম সীমান্ত রক্ষার সময় অসমের পুলিশের ছ'জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাই।’

কয়েক দিন ধরে অসম-মিজোরাম সীমানা উত্তপ্ত। কাছার জেলার লায়লাপুরের কাছে সীমান্ত রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, সকালে নিজেদের রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। সেই ঘটনা ঘিরে সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। জড়ো হন হাজার-হাজার মানুষ। অসম এবং মিজোরাম পুলিশের মধ্যে আলোচনার সময় মিজোরামের একদল লোক পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা পাথর ছোড়ে অসমের একদল। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তারা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিযোগ, বিকেল চারটে নাগাদ মিজোরামের দিক থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল এবং এয়ারগানের গুলি ছোড়া হয়। দু'পক্ষের একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষের জের। নিহত অসম পুলিশের ছয় কর্মী। এর পাশাপাশি ঘটনায় আহত ৫০ জন পুলিশকর্মী। তাঁদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

দিন দুয়েক আগেই উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর সোমবার অসম ও মিজোরামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সীমানায় গোলাগুলি, এমনকী সরকারি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে। দুই রাজ্যের সীমানায় আট কৃষকের কুঁড়েঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন