সমকালীন প্রতিবেদন : করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার বিকল্প নেই। করোনা ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই নিয়েছেন, এমন ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ মৃত্যু রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে। আইসিএমআর-এর সমীক্ষার ভিত্তিতে এমনটাই জানাল নীতি আয়োগ।
করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য ডা: ভি কে পল। তিনি বলেন, 'আইসিএমআর তামিলনাড়ুতে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫২৬ জন পুলিশকর্মীর উপর সমীক্ষা চালিয়েছে। পুলিশকর্মীরা যেহেতু রাস্তাঘাটে, মাঠে ময়দানে কাজ করেন, ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি থাকে। সেই কারণে এই সমীক্ষার জন্য পুলিশ কর্মীদেরই বেছে নেওয়া হয়।'
শুক্রবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডা: ভি কে পল বলেন, 'দেখা গিয়েছে সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ৬৭ হাজার ৬৭৩ জন ছিলেন, যারা ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই নিয়েছেন। করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিয়েছেন, এমন পুলিশকর্মীর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৭৯২ জন। এছাড়া ভ্যাকসিন নেননি এমন পুলিশকর্মীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৯ জন।'
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজও নেননি অর্থাৎ ওই ১৭ হাজার ৫৯ জনের মধ্যে ২০ জন মারা গিয়েছেন কোভিডে। কিন্তু অন্ততপক্ষে একটি ডোজ নিয়েছেন, এমন পুলিশ কর্মীদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ৭ জন। আর ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছেন, এমন পুলিশ কর্মীদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৪।ডা: পলের দাবি, সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, যারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজও নেননি, এমন প্রতি হাজার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.১৭ শতাংশ। একইভাবে যারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিয়েছেন তাদের মৃত্যুর হার ০.২১ শতাংশ। যারা ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছেন, তাদের মৃত্যুর হার ০.০৬ শতাংশ। আগামী ১০০ থেকে ১২৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত সংখ্যায় ভ্যাকসিন দিয়ে দেশবাসীকে নিরাপদ জোনে নিয়ে যাওয়াই কেন্দ্রের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন