সমকালীন প্রতিবেদন : রাত থেকেই শুরু হয়েছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন কালুপুর এলাকার যশোর রোড ব্যবহারকারী বাসিন্দারা। কারণ, এই মুহুর্তে কালুপুর পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে যশোর রোডের ধারের একটি পুরনো গাছের শুকনো ডাল বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে। যেকোনও সময় তা ভেঙে পরে বিপদ ঘটাতে পারে। যশোর রোডের দুধারের অনেক গাছেরই এমন পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
যশোর রোডের (৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক) দুধারের বহু প্রাচীন শিশু, শিরিষ গাছের মতো অনেক গাছের ডালই শুকিয়ে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে সেই ডালগুলি ভারী হয়ে গিয়ে আরও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। একটু জোরে হাওয়া দিলে যেকোনও মুহূর্তে সেই ডাল ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ডাল ভেঙে বেশ কয়েকজনের মুত্যু হয়েছে। জখমও হয়েছেন একাধিক জন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই গাছগুলি কেটে না ফেলে বিপজ্জনক শুকনো ডাল কেটে ফেলার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে বারে বারে দাবি উঠলেও, তা সেইভাবে কার্যকরী হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে আশার খবর, সম্প্রতি বনগাঁ পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, পুর এলাকায় যশোর রোডের দুধারের প্রাচীন গাছগুলির যেসব শুকনো ডাল শুকিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সেগুলি কেটে ফেলা হবে। পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দপ্তরের প্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করে গাছ চিহ্নিতও করে গেছেন। খুব দ্রুত সেই বিপজ্জনক ডালগুলি কেটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার কারণে সেই কাজে ব্যাগাত ঘটছে।
পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত এলাকার এই বিপজ্জনক ডালগুলি অতি দ্রুত কেটে ফেলার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। না হলে ওই ডাল ভেঙে পড়ে কোনও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, স্বাভাবিকভাবে ফের এই নিয়ে আলোড়ন তৈরি হবে। তাই ডাল ভেঙে পড়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন