সমকালীন প্রতিবেদন : দাপট কমলেও দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনো অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকেরা যেভাবে করোনা বিধি অগ্রাহ্য করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এ ব্যাপারে সচেতন না হলে অনতিবিলম্বে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ– সবাইকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করোনার দাপট বর্তমানে অনেকটা কমে আসায় দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। আর সেক্ষেত্রে বেড়ানোর আনন্দে পর্যটকেরা অনেক ক্ষেত্রেই ভুলে যাচ্ছেন মাস্ক ব্যবহার করতে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে। গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে দার্জিলিং প্রায় সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রেই একই চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়নি। তার মধ্যেই এভাবে খুল্লামখুল্লা ঘুরে বেড়ালে তৃতীয় ঢেউ আসতে বেশি সময় লাগবে না এবং সেক্ষেত্রে বিপদ অনেকটাই মারাত্মক হবে।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩ জন। এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দার্জিলিং জেলায়। এই তিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুতেই কমছে না।
অন্যদিকে, দীঘায় পর্যটকদের ঢল নামায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এখন থেকে দীঘায় বেড়াতে এলে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা ভ্যাকসিনের দুটি দেওয়ার সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। না হলে হোটেলে ঘর মিলবে না। এরই পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট এর ব্যবস্থা করল প্রশাসন। সেখানে গিয়ে রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই এই পর্যটন কেন্দ্রে থাকার অনুমতি মিলবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই পরীক্ষার কাজ চলবে। আজ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। দীঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিস ঘর এবং অঘোর কামিনী ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র– এই দুটি জায়গায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন