সৌদীপ ভট্টাচার্য : পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী যুবক তাঁর ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে পারলেন। ফিরে পেলেন স্ত্রী ও ছেলেকে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে। আর এই ঘটনায় ফের পুলিশের মানবিক মুখ দেখলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে বারাসত পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'সংযোগ।' সেখানে পুলিশের কর্তারা নিজেরাই প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যাম্পের আয়োজন করে হাজির থেকে সমাসরি মানুষের অভিযোগ শুনে তার দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থাও করবেন।
শুক্রবার দেগঙ্গার এসডিপিও সৌম্যজিত বড়ুয়া ও আইসি অজয় কুমার সিংহ আমুলিয়া গ্রামে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পে হাজির হন। সেখানে প্রায় ৩০ টি অভিযোগ জমা পরে। এরমধ্যেই পুলিশের ক্যাম্পে এসে প্রতিবন্ধী যুবক মিরাজুল মন্ডল কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে জানান, সাংসারিক অশান্তির কারণে তার ২ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছেন। মনিরুল মন্ডলের হাঁটার সামর্থ্যও নেই। এরপরই এসডিপিও সৌম্যজিত বড়ুয়া ও আইসি অজয় কুমার সিংহ মিরাজুল মন্ডলের শ্বশুরবাড়িতে খবর পাঠান তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসতে।
পুলিশের খবর পেয়ে মিরাজুলের স্ত্রী জাহানারা বিবি পুলিশের ওই ক্যাম্পে হাজির হন। এরপর পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দুপক্ষের আলোচনা শুনে তাঁদের সাংসারিক জীবনের সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে বলা হয়। এরপর মিরাজুল ও তাঁর স্ত্রী হাতে হাত রেখে সব অভিমান মিটিয়ে নেন। পুলিশের সহযোগিতায় এত সহজে যে এরমকমটা হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি প্রতিবন্ধী ওই যুবক। এদিন তিনি আনন্দে কেঁদেও ফেলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন