সৌদীপ ভট্টাচার্য : দুদিন ধরে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। সবথেকে বড় সমস্যায় পড়েছেন নদী পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী মানুষজন। আর এই দুর্যোগের দিনে এই দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন দেগঙ্গা থানার আইসি। তাঁদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেন তিনি।
ইয়াশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষালের আবাদে শতাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায়। প্রশাসনের সহযোগিতায় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন দুর্গতরা। এবারে এই সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির মধ্যে নিজেকে থানার মধ্যে আবদ্ধ না রেখে দেগঙ্গা থানার আইসি অজয় কুমার সিংহ নিজেই হাজির হন দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষালের আবাদ এলাকায়। তিনি পরিদর্শন করেন যে, নিম্নচাপের জেরে বিদ্যাধরী নদীর জল ফুঁসছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যাধরী নদীর পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী অসহায় দুঃস্থ মানুষদের খোঁজ-খবর নিলেন থানার আইসি। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে দেগঙ্গার ঘোষালের আবাদ এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে দুঃস্থ মানুষদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
এরপরই দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু পাড়ুঁইকে সঙ্গে নিয়ে আইসি অজয় কুমার সিংহ নদীপাড়ে বসবাসকারী ত্রিপল বা টালির ছাউনি দিয়ে বানানো কাঁচা বাড়ি রয়েছে, এমন প্রায় ২০ টি পরিবারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেন। দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেষ সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে বিদ্যাধরী নদী। আর এই নদীর পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী অনেক মানুষ আছেন, যাদের মাটির বাড়ি। একটানা বৃষ্টিতে সেই সমস্ত বাড়িগুলোর অবস্থা বেহাল। যখন তখন ভেঙে পড়তে পারে।
তাই দেগঙ্গা থানার আইসি অজয় কুমার সিংহ নিজেই এদিন ওই এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গত মানুষদেরকে উদ্ধার করে মহব্বতপুর প্রাইমারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করেন। পুলিশের এই মানবিক চিত্র দেখে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে আইসি কে। আইসি অজয় কুমার সিংহ জানিয়েছেন, 'আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টা এভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই দুর্যোগের দিনে নদীর ধারে বসবাসকারী দূর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন