সমকালীন প্রতিবেদন : মনস্কামনা পূরণ হলে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এবং মূর্তির আদলে নিজের এলাকায় মন্দির এবং বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করবেন। বিধানসভা নির্বাচনে সেই মনস্কামনা পূরণ হয়েছে। আর তাই এবার তা পালন করার পালা।
উত্তর কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সাধন পান্ডে এই নিয়ে ৯ বার বিধায়ক হলেন। তারমধ্যে ৬ বার কংগ্রেসের এবং ৩ বার তৃণমূলের বিধায়ক তিনি। শুধু এই রাজ্যই নয়, গোটা দেশে এই ঘটনা একপ্রকার নজীরবিহীন। তাঁরই ৩০ বছরের রাজনৈতিক ছায়াসঙ্গী, উত্তর কলকাতার জয়হিন্দ বাহিনীর সহ সভাপতি প্রতাপ দেবনাথ এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, সাধনবাবু যদি এবারের নির্বাচনেও জয়লাভ করেন, তাহলে তাঁদের এলাকায় তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহ দুয়ারের আদলে মন্দির এবং জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করবেন। মনস্কামনা পূরণ হয়েছে। এখন সেই প্রার্থনার বাস্তবায়ন চলছে। 'বড় দূর্গা', 'সোনার দূর্গা' খ্যাত কুমারটুলির শিল্পী মিন্টু পালের তত্ত্বাবধানে পাথর আর ফাইভার দিয়ে পুরীর মন্দিরের সিংহ দুয়ারের আদলে উল্টোডাঙার মুচিপাড়া এলাকায় এই মন্দির নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। ঝান্ডা সহ মন্দিরের উচ্চতা ৪০ ফুট। মন্দিরের চুড়ায় যে চক্র বসানো হচ্ছে, তা তৈরি করানো হয়েছে নবদ্বীপ থেকে। এছাড়া পুরীর মন্দিরের মূর্তি যারা তৈরি করেন, তাঁদেরই বংশধরদের কারখানা থেকে ৩০০ কেজি নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি নির্মান করানো হয়েছে। মূর্তির উচ্চতা ৪ ফুট। সমস্ত প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছে। আজ, রথযাত্রার দিন সন্ধে ৬টায় এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী সাধন পান্ডে।
এব্যাপারে প্রতাপ দেবনাথ জানান, 'মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় জগন্নাথ দেব এবং তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে জগন্নাথ দেবের কাছে আমাদের প্রার্থনা, জগন্নাথ যেন করোনা মহামারী থেকে সবাইকে মুক্তি দেন।' মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ৮ দিন ধরে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানালেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন