সমকালীন প্রতিবেদন : ভালোবাসার সম্পর্কে মনের মানুষকে একটু ছোঁয়ার জন্য আকুলি-বিকুলি করে মন। সেই ছোঁয়ার মধ্যে যেমন থাকে পরম মমতা, বিশ্বস্ততা, ভালোবাসা। আর এই সবগুলো এক চুমুতেই বুঝিয়ে দেওয়া যায়। প্রেমে অজস্র কথা থাকে, যা প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে একটি চুমু। প্রিয়জনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বনের বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। টুকটাক মান অভিমান মেটাতে বা শরীরে উষ্ণতার ঝড় তুলতে চুমুর তো জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু চুমুর আরও গুণ আছে। নিয়ম করে চুমু খেলে আপনি ও আপনার সঙ্গী থাকতে পারেন সুস্থ–সবল ও ফিটফাট।
সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, শুধু মানসিক বিষয় নয়, শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে জড়িত রয়েছে চুমু। বিজ্ঞান বলছে, চোখে চোখ রেখে চুমু খাওয়ার গুণ অনেক। সোয়াইন ফ্লুয়ের সম্ভাবনা কমে যায়। শুধু এটুকুই নয়। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমুতে ডুবে গেলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। যেমন, চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। চোখের সমস্যা দূর হয়। ঠোঁটের সংস্পর্শে সাইটোমেগালো ভাইরাস শরীরের নানা উপকার করে। অন্তসত্ত্বা অবস্থাতেও চুমু খাওয়ার অভ্যাস জারি রাখলে হবু সন্তানের জিনগত কোনও ত্রুটি থাকে না। চুমু যেকোনও সম্পর্ককে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে। ঠোঁট, চিবুক, জিভে জিভ ঠেকিয়ে গভীর চুমুতে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে আপনি আপনার প্রিয়জনের শরীরের একটা গন্ধ পান। সেখান থেকেই তৈরি হয় গভীর বন্ধন। মন তরতাজা থাকে।
চুমু খেলে ক্যালোরি ঝরে। তার জন্য পাঁচ মিনিট টানা চুমু খেতে হবে। ৫ মিনিটের চুমু ১০ মিনিট ট্রেডমিলে ছোটার সমান। চুমু খেলে মুখের পেশি শক্ত থাকে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা চুমু খেয়ে থাকেন, তাঁদের মুখের চামড়া দীর্ঘদিন টানটান থাকে। চিবুক শক্ত থাকে। গবেষণা বলছে, চুমু খাওয়ার সময় মুখের ৩০ টি পেশি একসঙ্গে সক্রিয় থাকে। দৈনন্দিন জীবনে চাপ কার থাকে না। প্রতিনিয়ত বাড়ি, অফিস সর্বত্রই নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। সেক্ষেত্রে একটু চুমু খেলে শরীর থেকে ফিল গুড হরমোন নির্গত হয়। যা আপনাকে স্ট্রেস ফ্রি রাখবে। এমনকি আপনাকে রোমান্টিক করে তুলবে। নিয়মিত চুমু খেলে বাড়ে শরীরের ইমিউনিটি। দূর হয় চোখের সমস্যা। হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে।
ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কপালে আলতো চুমু সম্পর্কের গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝায়। আপনার কপালে প্রিয়জনের চুমু বুঝিয়ে দেয়, তার জীবনে আপনি কতটা মূল্যবান। আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতে তিনি বদ্ধপরিকর। কানে চুমু বোঝায় প্রেমের সম্পর্কে আপনি কতটা প্যাশনেট। ঘাড়ে চুমু খেলে বোঝায় প্রেমিক বা প্রেমিকা খুবই রোমান্টিক। গালে চুমু ইঙ্গিত দেয় বন্ধুত্বের। হাতের তালুতে চুমু বোঝায় আপনার পছন্দ। প্রিয়জনের পায়ের তালুতে আলতো চুমু প্রলুব্ধতাকে নির্দেশ করে। তেমনই কাঁধে খাওয়া চুমু বুঝিয়ে দেবে আপনার প্রিয়জনকে আপনি কতটা চান।
সবচেয়ে প্যাশনেট ভঙ্গিমায় চুমু হল লিপ-টু-লিপ কিস বা ওষ্ঠ চুম্বন। প্রেমের সম্পর্কে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয় এই ভঙ্গিমায় খাওয়া চুমু। গভীর মানসিক একাত্মতাকে নির্দেশ করে এই চুমুর ভঙ্গিমা। বিভিন্ন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, ভালোবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমে শরীরের নানা উপকারিতা লুকিয়ে আছে। চুম্বনকে মনের খোরাকের পাশাপাশি শরীরের খোরাকও বলা যেতে পারে। চুমু খাওয়ার সময় যে উত্তেজনা তৈরি হয়, তাতে হার্টের গতি বেড়ে যায়। ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এর ফলে রক্তনালী শিথিল হওয়ায় রক্তপ্রবাহ ভালো হয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কমে যায় খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণও। কমে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা। মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের মতো ক্রনিক ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গভীর একটি চুমু। যারা নিয়মিত চুমু খান, তাঁদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না। চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন