সমকালীন প্রতিবেদন : অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলতে হবে– এই দাবিকে সামনে রেখে অল ইন্ডিয়া ডিএসও মিছিল ও প্রতীকী অবরোধে শামিল হল। সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা স্টেশন থেকে অল ইন্ডিয়া ডিএসও ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে নগরউখড়া মোড় পর্যন্ত যান। সেখানে যশোর রোডে প্রতীকী অবরোধ করেন তাঁরা। পাশাপাশি স্কুল কলেজ বন্ধের সরকারি নির্দেশিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হন। তাঁদের সঙ্গে সামিল হন ছাত্রছাত্রীরাও। এদিন রাজ্যজুড়েই এই কর্মসূচি পালন করছে ডিএসও।
করোনা পরিস্থিতির কারনে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ। এর ফলে পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন ডিএসও কর্মীরা। আর তাই ছাত্রস্বার্থে তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ খোলার দাবি জানিয়েছেন। এদিনের মিছিল থেকে তাঁরা আওয়াজ তোলেন, অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। স্কুল-কলেজে পড়াশোনার মান ফিরিয়ে আনতে হবে। যেখানে রাজ্যের সমস্ত দোকানপাট খোলা রয়েছে, কেন শুধুই স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে, এমনই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁরা মনে করেন, দিনের পর দিন স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের মান তলানিতে ঠেকছে। রাজ্যে পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। যশোর রোডের উপর এমনই দাবি তুলে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ করেন অল ইন্ডিয়া ডিএসও কর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হাবড়া থানার পুলিশ। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করেন পুলিশ কর্মীরা।
এই অবরোধের ঘটনায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যশোর রোডে। এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া ডিএসও র জেলা নেতৃত্ব সংযুক্তা দত্ত বলেন, 'করোনা এবং অপরিকল্পিত লকডাউনের কারনে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে রয়েছে। যেখানে সংক্রমনের গ্রাফ নিম্নমুখি, বাজার, দোখান এমনকি সর্তসাপেক্ষে বিয়েবাড়িতে পর্যন্ত আনন্দ অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে সরকার, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার কোনওরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি, সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে।'
এর পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষনা প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, 'যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করার কথা আমরা সরকারকে জানিয়েছিলাম, সেই প্রস্তাব গ্রহন না করায় মূল্যায়ন নিয়ে দূরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্কটের মধ্যে পরতে হয়েছে।' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েও কাজ না হওয়ায় তাঁরা আজ রাস্থায় নেমে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করে ডিএসও নেতৃত্ব। অবিলম্বে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে, আগামীদিনে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন