সমকালীন প্রতিবেদন : সিঙ্গুরে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ নিল রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তর। রাসায়নিক সার ও কৃষিবিষ প্রয়োগ না করে কীভাবে উৎকৃষ্ট মানের ফলন পাওয়া যেতে পারে, সেটাই কৃষকদের হাতেকলমে শেখাচ্ছেন উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা। একইসঙ্গে অসময়ের সবজি চাষের মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি লাভ ঘরে তোলা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে অসময়ের ফুলকপি চাষ।
মূলত জৈবপ্রযুক্তিতে ভরসা রেখেই অসময়ের ফুলকপি চাষ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যানপালন আধিকারিকেরা। সিঙ্গুর ব্লকের কামারকুন্ডু গোপালনগর দলুইগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতে কৃষকদের উন্নত চাষের কৌশল সম্পর্কে অবগত করতে চালু করা হয়েছে খামার স্কুল। আতমা প্রকল্পের অধীনে ওই স্কুলে কৃষকদের বিষমুক্ত বেগুন চাষের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। কৃষিবিষ ব্যবহার না করে কীভাবে সুসংহত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বেগুনের পোকামাকড় দমন করা যায়, সেটাই জানানো হচ্ছে চাষিদের।
আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সৌরচালিত ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহারের পাশাপাশি জমিতে আঠালো ফাঁদ ব্যবহার, ফলের মাছির ফাঁদ কীভাবে জমিতে বসাতে হয়, সেসব সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। পাশাপাশি, অসময়ের সবজি চাষের দিশা দেখাতে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি প্রদর্শনী ক্ষেত্র। ফুলকপি মূলত শীতকালীন ফসল। কিন্তু সে সময় ফলন বেশি হওয়ায় বাজারে জোগান থাকে বেশি। ফলে কৃষকরা দাম পান না। কিন্তু অসময়ে ফুলকপি চাষ করে অনেক বেশি লাভ করা যায়।
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে উদ্যানপালন দপ্তরের তরফে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ১০ জন কৃষককে বর্ষা সহনশীল ফুলকপির হাইব্রিড বীজ ও চাষের উপকরণ দেওয়া হয়েছে। চারা বোনার ৭০ দিন পর মোটামুটিভাবে ফুলকপি তোলা যায়। ফলে এখন চাষ শুরু করলে দুর্গাপুজোর মুখে ফলন উঠবে। সেই সময় বাজারে ফুলকপির বেশ ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন উদ্যানপালন আধিকারিকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন