সমকালীন প্রতিবেদন : পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এ আর নতুন কী। ঘুষের টাকায় পুলিশ বাড়ি, গাড়ি করেছে– এমন অভিযোগ আকছাড় শোনা যায়। তা বলে ঘুষের টাকায় বাড়িতে সোনায় মোড়া টয়লেট ! রাশিয়ার এক পুলিশকর্তার এ হেন কীর্তি সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে বড়সড় দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে রাশিয়ার দুর্নীতি দমন শাখা। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই তারা পৌঁছে যায় দক্ষিণ–পশ্চিম রাশিয়ার স্টাভরোপল প্রদেশের এক আঞ্চলিক ট্রাফিক পুলিশকর্তার বাড়িতে। প্রাসাদোপম বাড়ি। বাইরে সবুজ ঘাসের লন। সেখানে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড় করানো।
ভিতরে ঢুকতেই তদন্তকারীদের চক্ষু চড়কগাছ। অ্যালেক্সি সাফোনভ নামে ওই পুলিশ কর্তার গোটা বাড়িটাই কার্যত সোনায় মোড়া। ইন্টেনিয়র দেখলে যেকারও মাথা ঘুরে যাবে। বেডরুমে রয়েছে সোনায় মোড়া ওয়ালপেপার। দামী আয়না। ঝাড়বাতিও স্বর্ণখচিত। বাথরুমে পুরো সোনায় মোড়া কোমড। এমনকী মার্বেলেও বসানো সোনার পাত।
দূর্নীতিগ্রস্থ ওই পুলিশকর্তা অ্যালেক্সিকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তাঁর সোনায় মোড়া বাড়ির ভিডিও ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা। আর ওই ছবি সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ধৃত পুলিশকর্তার ৮ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তাঁর সঙ্গেই আরও ছ'জন পুলিশকর্মীকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছেন রুশ তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। অ্যালেক্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৩৫ জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে রীতিমতো গ্যাং তৈরি করেছিলেন। যারা শুধু ঘুষ নেওয়া নয়, মাফিয়াগিরি চালাচ্ছিল। ভুয়ো নম্বর প্লেট বিক্রি করা থেকে কার্গো পারমিট দেওয়ার বিনিময়ে আদায় করা হত মোটা টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন