সৌদীপ ভট্টাচার্য : উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার অপহৃত যুবককে মহারাষ্ট্র থেকে উদ্ধার করল পুলিশ।দীর্ঘ দেড় বছর ধরে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল দেগঙ্গা হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সালাউদ্দিন মন্ডলকে। বাড়িতে বৃদ্ধ মা, বাবা, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাহাবুউদ্দিন মন্ডল দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়ার দ্বারস্থ হন।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার পারদ থানা এলাকায় শেখ আজিম নামের এক ফল ব্যবসায়ী দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সালাউদ্দিন মন্ডলকে অপহরণ এবং গৃহবন্দি করে রেখেছিল বলে অভিযোগ। ওই যুবককে ঘর থেকে বের হতে দিত না। অবশেষে দেগঙ্গার এসডিপিও পারদ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পারদ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা এব্যাপারে এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়াকে আশ্বস্ত করেন। দেগঙ্গা থানার আইসি অজয় কুমার সিংহও সহযোগিতা করেন সালাউদ্দিন এর পরিবারকে।
দেগঙ্গা থানার পুলিশের একটি দল পারদ থানার পুলিশ আধিকারিকদের সহযোগিতায় অবশেষে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার পারদ থানা এলাকা থেকে সালাউদ্দিন মন্ডলকে উদ্ধার করে আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয়। হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাহাবুউদ্দিন মন্ডল বলেন, 'ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সালাউদ্দিন মন্ডলকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাঁর পরিবার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল। পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় তাঁদেরকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে দেগঙ্গা থানার এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া ও আইসি অজয় সিং এর তৎপরতায় সালাউদ্দিনকে দায়িত্বের সঙ্গে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।'
দেগঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিকদেরকে হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এই ঘটনায় ফের একবার পুলিশের দায়িত্ব এবং মানবিকতার চিত্র ফুটে উঠল। সালাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকেও দেগঙ্গার এসডিপিও ও আইসি কে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন