বিনামূল্যের ইলিশ ও চিংড়ি উৎসব
রবিবার বরানগরে অসহায় ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য বিনামূল্যে ইলিশ ও চিংড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি নিজে হাতে উপস্থিত মানুষদের খাবার পরিবেশন করেন। এই উৎসবের যৌথ আয়োজক টিম সোহম এবং হাসিখুশি ক্লাবের। এদিন ২০১ জন দুস্থ মানুষকে খাবার পরিবেশন করা হয়। গত বছর শুধু ইলিশ উৎসব করা হয়। এবার দ্বিতীয় বছরে ইলিশের সঙ্গে চিংড়ি যুক্ত হয়েছে। হাসিখুশি ক্লাবের সম্পাদক এবং টিম সোহমের ম্যানেজার সুমন কর জানান, 'প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করবো।'
মহাবিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ
পুরুলিয়ার আমরা কজন সংস্থার উদ্যোগে রবিবার পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। এদিন নিস্তারিণী কলেজ চত্বরে বিভিন্ন চারাগাছ লাগান তাঁরা। সংস্থার সদস্যরা গোটা লকডাউন পিরিয়ডে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গরীব ও দুঃস্থ মানুষদের দুপুরের খাবার জোগাতেন। পুরুলিয়া শহরের হাটের মোড়ে প্রতিনিয়ত তাঁরা মানুষের হাতে এই খাবার তুলে দিতেন। পুরুলিয়া শহরের অদূরে নবকুষ্ঠ আশ্রমে আবাসিকদেরও খাবার দিয়েছেন। এমনকি পুরুলিয়ার আড়শা থানা এলাকায় একটি আশ্রমিক স্কুলেও তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পুরুলিয়ার এই সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মানুষের মনে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সংস্থার পক্ষে দেবদত্ত মুখার্জি, পার্থ সরকার ,অমর শঙ্কর দে, দিব্যেন্দু দত্তরা জানান, 'আজ আমরা পুরুলিয়া নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়েছিলাম। আগামী দিনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা বৃক্ষরোপনের কর্মসূচীও নিয়েছি।'
কালীমূর্তি নিয়ে মাতলেন গ্রামবাসীরা
নদী থেকে উদ্ধার হল কালীমূর্তি। আর তাকে নিয়েই মেতে উঠলেন গ্রামবাসীরা। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার নারিকেলা গ্রামে স্থানীয় যমুনা নদী থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন একটি কালীমূর্তি। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, মা নিজেই গ্রামবাসীদের মনের কথা বুঝতে পেরে এইভাবে আবির্ভত হয়েছেন। মূর্তি পাওয়ার খবর জানাজানি হতেই গ্রামে ভিড় করছেন আশপাশ গ্রামের প্রচুর মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই মূর্তি পুজো শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে শিবমন্দির আছে। এর পাশাপাশি আগামী দিনে গ্রামে কালীমায়ের মন্দির তৈরি করে সেখানেই পাকাপাকিভাবে পুজোর আয়োজন করা হবে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
ঠাকুরবাড়িতে স্বাস্থ্য শিবির
সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সংঘাধিপতি, প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের উদ্যোগে রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন হল। এদিনের শিবিরে কলকাতার সরকারি হাসপাতালের ৫০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান নদীয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বহু মতুয়া ভক্ত। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষাও করার সুযোগ পান তাঁরা। মমতা ঠাকুর জানান, 'এর আগে ঠাকুরবাড়িতে এতো বড় স্বাস্থ্য শিবির হয় নি। এদিন যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন, তাঁদের আগামী দিনে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও যদি কিছু সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তারও ব্যবস্থা করা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন