সমকালীন প্রতিবেদন : করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বনগাঁর সুতিবস্ত্রের পাইকারি হাট ফের চালু করার উদ্যোগ নিল প্রশাসন। সুতি বস্ত্র ব্যবসায়ী সংগঠনের আবেদনে সাড়া দিয়ে বনগাঁ পুরসভা এবং বনগাঁ মহকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই পাইকারি হাট বনগাঁ শিমুলতলা এলাকার পরিবর্তে এখন থেকে গান্ধীপল্লীর সাহেব বাড়ি এলাকায় নির্মিয়মান বাস টার্মিনাল এলাকায় বসবে। পুরসভা এবং প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেশ কয়েক বছর আগে বনগাঁর নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহযোগিতায় নিউ মার্কেট চত্বরে শুরু হয় সুতি বস্ত্র ব্যবসায়ীদের পাইকারি হাট। এই হাটে উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও নদীয়া জেলা থেকেও প্রচুর পাইকারি বস্ত্র ব্যবসায়ী তাঁদের উৎপাদিত পন্য এখানে পাইকারি দরে বিক্রি শুরু করতেন। পরবর্তীতে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে সেই হাট নিউ মার্কেট থেকে উঠে বনগাঁর শিমুলতলা এলাকার আয়রণ গেট ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় চলে যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই হাট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বনগাঁ পাইকারি সুতিবস্ত্র হাট ব্যবসায়ী সমিতি চাইছে, নতুন করে এই হাট চালু হোক। আর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করুক পুরসভা এবং মহকুমা প্রশাসন। সম্প্রতি এইমর্মে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসক এবং পুর প্রশাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রবিবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, শিমুলতলা এলাকার পরিবর্তে এখন থেকে এই হাট গান্ধীপল্লী এলাকায় সাহেব বাড়ি অঞ্চলে প্রস্তাবিত বাস টার্মিনাল এলাকায় বসবে।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকালে পুরসভার পক্ষ থেকে মেশিন দিয়ে এলাকা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়। পুরসভা এবং প্রশাসনের কর্তারা আজ এলাকা পরিদর্শন করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে পাইকারি বাজারের ব্যবসা চালানো যায়, তার জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়। দোকানদারেরা কতটা দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পণ্য নিয়ে বসবেন, তাও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই পুরোদমে নতুন করে চালু হবে এই পাইকারি হাট। এই হাটের সঙ্গে ছোট-বড় মিলিয়ে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭০০ জন বস্ত্র ব্যবসায়ী। পুরসভা এবং প্রশাসনের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি তাঁরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন