সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন হাবড়ার কুমড়া গ্রামের রিক্তা দাস। তাঁর এই সমস্যা শুনতে পুলিশ কর্তারা যে তাঁর কাছে চলে আসবেন, তা কখনও ভাবতেও পারেন নি রিক্তাদেবী। পুলিশ কর্তাদের কাছে নিজের সমস্যার কথা জানাতে পেরে খুশি তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেআগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প চালু হয়। যেখানে সরকারি আধিকারিকেরা মানুষের একপ্রকার বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনে সমস্যা সমাধানের কাজ করেন। এই কর্মসূচিতে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সাড়া পরে। মুলত সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ন মুখার্জীর উদ্যোগে এই পুলিশ জেলায় শুরু হয়েছে 'সংযোগ' নামে এক কর্মসূচি, যেখানে পুলিশ কর্তারা মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।
এ সম্পর্কে হাবড়ার এসডিপিও রোহেদ শেখ জানান, 'অনেক সমস্যা দূরত্বের কারনে অথবা শারীরিক কারনে অনেক মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা জেলা পুলিশের বড় কর্তাদের কাছে জানাতে পারেন না। এইসব মানুষদের কথা মাথায় রেখে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বারাসত পুলিশ জেলায় শুরু হয়েছে সংযোগ নামে পুলিশের একটি নতুন কর্মসূচি। এতে পুলিশের পদস্থ কর্তারা স্থানীয় থানার আধিকারিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে গ্রামে মানুষের কাছে পৌছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা সরাসরি শুনছেন। এরমধ্যে যেগুলি পুলিশের কাজের মধ্যে পরছে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিককে লিখিতভাবে সমস্যা লিপিবদ্ধ করে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য দপ্তরের বিষয় হলে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'
গোটা রাজ্যে পুলিশের এই ধরনের কর্মসূচির পাশাপাশি বারাসত জেলা পুলিশ জেলাতেও তা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে এই পুলিশ জেলার অর্ন্তগত অশোকনগর থানার গুমা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন এই কর্মসূচি প্রথম শুরু করা হয়। মঙ্গলবার হাবড়া থানার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দ্বিতীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। এদিনের কর্মসূচিতে প্রায় ৬০ জন মানুষ পুলিশ কর্তাদের কাছে তাঁদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করান। এসডিপিও রোহেদ শেখ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবড়া থানার আইসি অরিন্দম মুখার্জী, কুমড়া পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না বিশ্বাস সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন