Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

চতুর্মাস্য ব্রত

চতুর্মাস্য ব্রত

সুভাষ মোহান্ত : আষাঢ় মাসের একাদশী বা পূর্ণিমাতে এই ব্রত শুরু করে, আষাঢ়- শ্রাবণ- ভাদ্র ও আশ্বিন– এই চার মাস ধরে এই ব্রত পালন করতে হয়। বছরের চার মাস ধরে এই ব্রত পালন করা হয়। তাই এর নাম চতুর্মাস্য ব্রত বা চাতুস্মাস্য ব্রত। 

ব্রতের পদ্ধতি:- 

১)‌ শুদ্ধ সাত্বিক জীবনযাপন। 

২)‌ স্নান, স্নান অন্তে ব্রত শুরু।

৩)‌ একাহারী থাকা অর্থাৎ দিনে একবার মাত্র ভোজন। 

৪)‌ মদ- মাংস- ডিম-তেল বর্জন।

৫)‌ সদা মনে মনে অর্চনা- জপ। 

৬)‌ শরীরে আলতা (মহিলাদের) চন্দনাদি সুগন্ধি লেপন।

আহার দ্রব্য:- 

একাহারী অবস্থায়- যব বা গম দ্রব্য, খাঁটি গব্য ঘৃত, খাঁটি গো-দুগ্ধ, খাঁটি দধি, পঞ্চগব্য, ভিক্ষালব্ধ অন্ন। তবে শ্রাবণে শাক, ভাদ্রে দধি, আশ্বিনে দুগ্ধ বর্জনীয়।

নিষেধ:- 

শাক, ফলমূল, কসায় দ্রব্য ও রস বর্জন। পরহিংসা, তামসিক চিন্তাভাবনা মনে স্থান দেওয়া যাবে না। 

মন্ত্র:- 

হে কেশব, আমি তোমার নিকট এই ব্রত গ্রহণ করলাম। তুমি আমার প্রতি প্রসন্ন হও। তুমি প্রসন্ন হলেই, আমার এই ব্রত নির্বিঘ্নে সমাপ্ত হতে পারে। ব্রত সম্পন্ন না হতেই যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলেও তোমার প্রসাদে যেন আমার এই ব্রত সম্পন্ন হয়- এটাই আমার প্রার্থনা।

ব্রত সমাপ্তি:-

 আশ্বিন মাসের একাদশী বা পূর্ণিমাতে এই ব্রত সমাপ্ত করতে হয়। ব্রতকালিন অথবা ব্রত শেষে সাধ্যমত দান, ভোজন ও দক্ষিণা প্রদান।

ব্রত ফল:- 

সুস্বাস্থ্য লাভ, পরিবারের অন্নকষ্ট দূর, আত্মার উন্নতি, জ্ঞান ও শিক্ষা বৃদ্ধি, হিংসা নষ্ট, শত্রু নিধন, পারিবারিক ও পারিবেশিক শ্রীবৃদ্ধি।

অতীতে, এই ব্রতের খুব প্রভাব ছিল। এখনও বেশ কিছু নিষ্ঠাবান মানুষ, এই ব্রত পালন করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন